পাঠ পরিচিতি

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - বাংলা সাহিত্য - গদ্য | NCTB BOOK
1k
Summary

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের (বনফুল) লেখা 'নিমগাছ' গল্পটি অদৃশ্যলোক গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত।

গল্পে লেখক নিমগাছের বর্ণনা ও তার উপকারিতা অসাধারণভাবে উপস্থাপন করেছেন। কবিরাজের চিকিৎসা এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনে নিমগাছের ব্যবহার ঘটলেও, কেউ এর যত্ন নেয় না।

একজন কবি নিমগাছের প্রশংসা করলে, গাছটি তার সঙ্গে যেতে চায়, কিন্তু এটি মাটির মধ্যে গেঁথে থাকে।

এটি একটি প্রতীকী গল্প, যেখানে নিমগাছ নারীর আত্মত্যাগ এবং মানবিক মর্যাদা, পারিবারিক ও সামাজিক গুরুত্বের প্রতীক।

:বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের (বনফুল) অদৃশ্যলোক গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত ‘নিমগাছ গল্প । এই গল্পের সংক্ষিপ্ত অবয়বের মধ্যে লেখক বিপুল বক্তব্য উপস্থাপনের যে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তা বাংলা সাহিত্যে বিরল। নিমগাছের বর্ণনা, এর পাতা, বাকল, ছায়ার ইত্যাদির বাহ্যিক উপকারিতা কবিতার মতো বর্ণনা করা হয়েছে এই গল্পে। কবিরাজ তার চিকিৎসার কাজে, সাধারণ মানুষ প্রাত্যহিক প্রয়োজনে নিমগাছকে অনবরত ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু কেউ এই গাছের সামান্যও যত্ন নেয় না। একজন কবি একদিন নিমগাছের গুণ ও রূপের প্রশংসা করে। নিমগাছের ভালো লাগে ঐ লোককে এবং সে তার সঙ্গে চলে যেতে চায়। কিন্তু মাটির গভীরে তার শিকড়। গাছটি যেতে পারে না । আসলে গাছ তো চলতে পারে না। এটি একটি প্রতীকী গল্প । প্রকৃতপক্ষে, ‘নিমগাছ' গল্পটির নিমগাছ প্রতীকের সূত্রে বনফুল দেখিয়েছেন নারীর অপরিসীম আত্মত্যাগ। নারীর মানবিক মর্যাদা, পারিবারিক ও সামাজিক গুরুত্ব উপলব্ধি করার ইঙ্গিত দেয় গল্পটি।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নের উত্তর দাও :
গফুরের প্রিয় ষাঁড় মহেশ। প্রায় আট বছর প্রতিপালন করে সে এখন বুড়ো হয়েছে। গফুর সাধ্যমতো তার যত্ন নেয়। পরিবারের কেউ মহেশকে চায় না। কিন্তু গফুর সন্তানস্নেহে তাকে লালন করে । নিজের খাবার না খেয়ে ঘরের চাল পেড়ে মহেশকে খেতে দেয়।

সিদ্ধ করে খায়
ভিজিয়ে খায়
শুকিয়ে খায়
রান্না করে খায়
এটা দেখতে সুন্দর
এটা উপকারী
এটা পরিবেশ-বান্ধব
এটা আকারে ছোট
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...